সরকারের নির্দেশনা রয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি মোকাবিলায় ভারত থেকে পচনশীল পণ্য আমদানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য স্বল্প পরিসরে বেনাপোল বন্দর চালু রাখা।
কিন্তু ভারতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের কারণে বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল কাস্টমস এলাকা প্রায় জনশূন্য। ফলে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো ধরনের কাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো মালামাল সরবরাহ করছে না ভারত।
কাঁচামাল আমদানিকারক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনা মরিচ ও মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবচেয়ে কম সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা যায়। কিন্তু দেশের সংকটকালে ভারত পুরোপুরি লকডাউনে থাকায় সেখান থেকে এ জাতীয় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না।’
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘জনবহুল ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে ও জনস্বার্থে সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখতে প্রস্তুত আছি।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্দেশনায় তারা কাস্টমস হাউজে অবস্থান করছেন। পণ্য রপ্তানির ব্যাপারে ভারতীয় কাস্টমস ও বন্দরের লোকজনের মনোভাব নমনীয় থাকলেও দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
কাস্টমস নমনীয় থাকলেও বিএসএফের কারণে আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে মনে করেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মফিজুর রহমান সজন।