এতে বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা শতশত পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে।
এদিকে, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ড কর্মচারীরাও ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য গ্রহণ না করলে আমদানি বাণিজ্য বন্ধের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
গত তিন মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকা পড়েছে ৫০০ ট্রাক রপ্তানি বোঝাই পণ্য। দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন বোনপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য চালু হলেও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
ভারত সরকার ও সেদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিলেও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্য ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না তারা। ফলে, বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় রপ্তানি পণ্যের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস পণ্য ও পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারত আমদানি পণ্য দিলেও তারা বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্য গ্রহণ করছে না। যার জন্য রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে আসা আমদানি বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্য ভারতে ঢুকতে না পারায় মোটা অংকের ট্রাক ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের, যোগ করেন তিনি।
বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, রপ্তানি পণ্য ভারত না নেয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসন ওয়েলফেয়ার স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যদি মনে করে তারা এ ভাইরাসের কারণে আমদানি পণ্য নিবে না তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের বিধি নিষেধ থাকার কারণে আমরা বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য নিতে পারছি না।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, রপ্তানি পণ্য ভারত গ্রহন না করায় বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন সকাল থেকে ভারতীয় পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ওপারে শতশত পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে যত্রতত্র। অনুরুপ ভাবে বেনাপোল বন্দর এলাকায় ৪ থেকে ৫শ রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে ভারতে যাওয়ার অপেক্ষায়।