সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুত রয়েছে। কোনোভাবেই লবণের দাম বড়ার সুযোগ নেই। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এটা বাড়িয়েছেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বলেছি এ মুহূর্তে বাজার মনিটর করে জড়িতদের জেল-জরিমানা করেন।’
‘যাকে জেল দেয়া দরকার তাকে জেল দেন, যাকে জরিমানা করা দরকার তাকে জরিমানা করেন,’ অধিদপ্তরকে উদ্দেশ করে বলেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘লবণের বিষয়ে আমাদের সরকারের তরফ থেকে একটাই কথা- শুধুমাত্র গুজবকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবাস্তব সুযোগ নিয়েছেন। যদিও লবণের বিষয়টি শিল্প মন্ত্রণালয় দেখে তারপরও আমি আসার আগে খবর নিয়ে এসেছি যে দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে।’
পেঁয়াজের উত্তপ্ত দাম নিয়ে কয়েক দিন ধরে দেশজুড়ে চলা তোলপাড়ের মাঝে সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিভ্ন্নি এলাকায় লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে যায়। ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন আশপাশের দোকানগুলোতে। বাড়তি চাপে নিমিষেই ফুরিয়ে যায় বিভিন্ন দোকানের লবণের মজুত। সুযোগ বুঝে অনেক ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে করেন কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। লবণ নিয়ে চলা এ লঙ্কাকাণ্ড মঙ্গলবার সারা দিনও চলে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি লবণ মজুত রয়েছে। লবণের সংকট রয়েছে বলে অনলাইন মিডিয়ায় একটি মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বিসিক।
লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে ইতিমধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (০২-৯৫৭৩৫০৫, ০১৭১৫-২২৩৯৪৯) খোলা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা কম-বেশি এক লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুত আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট হবার প্রশ্নই ওঠে না।