আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
শনিবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নাজের বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) ভোজ্য তেলের দাম সমন্বয় করা উচিত। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম নিয়মিতভাবে কমছে।
তিনি ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের জন্য বিটিটিসিকে অনীহার জন্য দায়ী করেন।
বিটিটিসি শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করে অভিযোগ করে ক্যাব সহ-সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে স্থানীয় বাজারে বিটিটিসি দাম বাড়ায়। কিন্তু যখন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তখন দাম কমানোর আগ্রহ দেখায় না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম পাঁচবার উঠানামা করেছে। এর মধ্যে তিন দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে।
২০২২ সালের ৫মে সরকার বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিওভিএমএ) সয়াবিন ও পাম তেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়।
বিভিওভিএমএ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে।
এর অর্থ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৪৪ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দুই-এক দিনের মধ্যে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যসচিব
বিশ্বব্যাপী তেল, এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে: মোমেন