এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টিসহ ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞায় এসব ব্যাংকের পে-অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি না নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর সই করা একটি অফিস আদেশ সংস্থাটির সব বিভাগের কাছে পাঠানো হয়। এ নির্দেশনার ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সেবা নিতে কিংবা টেন্ডারসহ আনুষঙ্গিক কাজে কেউ ব্যাংকগুলো চেক বা পে-অর্ডার দিতে পারবেন না।
গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শিপিং এজেন্টগুলো ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের পে-অর্ডার নেওয়া বন্ধ রেখেছিল। এবার ব্যাংকগুলোর পে–অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এর মধ্যে প্রথম ছয়টি ব্যাংক চট্টগ্রামের আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা এসব ব্যাংকের চলতি হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোতেও তারল্য সংকট রয়েছে। আগে তারল্য সংকট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ সহায়তা নিয়ে এলেও ঘাটতি থাকার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন নগদ সহায়তা দিচ্ছে না। এ কারণে এসব ব্যাংকের চেকের লেনদেন নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এ জন্য সতর্কতা হিসেবে এসব ব্যাংকের পে-অর্ডার ও চেকগুলো না নেওয়ার জন্য বন্দরের সব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সাধারণত দরপত্র দাখিলের সময় টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জামানত হিসেবে পে–অর্ডার নেওয়া হয়। আবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়া হয়। এসব পে-অর্ডার কিংবা ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নের ক্ষেত্রে যাতে বন্দর কোনো সমস্যায় না পড়ে, সে জন্য সতর্কতাবশত এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ২৮ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক