দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার যে আমেজ ছিল, তা থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত মানুষ যেভাবে উৎসাহ, উদ্দীপনায় ভোট দিচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে।
মোহাম্মদপুরে নির্বাচনী সংবাদ কভার করার সময় সাংবাদিক আহত হবার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অত্যন্ত দুঃখজনক, কোনোভাবেই সমীচীন নয় এবং আমরা এটি সমর্থন করি না। কীভাবে তিনি আহত হলেন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যে সক্রিয় প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে, তাতে আমাদের প্রার্থীরা প্রচারের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। আর শীতের দিন ও বন্ধের দিন সকাল ৮টায় উপস্থিতি কম হওয়াই স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতিও স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে।’
‘আওয়ামী লীগের যত কর্মীই থাকুক, ভোটে অনিয়মের কোনো সুযোগে নেই। অন্যদিকে, বিএনপি কর্মীদের অনুপস্থিতি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতারই পরিচয় এবং নেতাদের কথাবার্তায় তারা হতাশ,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি'র প্রতিক্রিয়া পূর্বপরিকল্পিত
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তার কথায় বিএনপির উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেছেন এই বলে যে- আমাদের সাফল্য এই যে, আমরা মাঠে নামতে পেরেছি- অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, জয়লাভ তাদের উদ্দেশ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘তারা শুরু থেকেই নানা অভিযোগ করার চেষ্টা করেছে, সকাল থেকেই সেগুলো বলা শুরু করেছে। তারা সকালে, দুপুরে, বিকালে এবং নির্বাচনী ফলাফল যেমনই হোক, কী বলবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য ধন্যবাদ দেই। কিন্তু তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে, বারবার বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কূটনীতিকদের শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অবস্থা তৈরি করে দিয়েছে। সুতরাং তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করা।’