গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯০এইচ (৪) ধারা অনুযায়ী দলটির নিবন্ধন বাতিল করে রবিবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯০বি ধারার শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল এবং সে অনুযায়ী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে নিবন্ধন দেয়া হয়। নিবন্ধন নম্বর-১৪।
তবে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী ও আরও ২৪ জন হাইকোর্টে রিট করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১৩ সালের আগস্টে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
রিটে আবেদনকারীরা বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
আদালতের রায়ের পর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন স্থগিত রেখেছিল।
এবিষয়ে ইসি সচিব সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, কমিশন আগে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পায়নি। এখন কপি পেয়ে ইসি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আপিল বিভাগে রায় ঝুলে গেলে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, তারা একটি ‘অ্যাডভোকেট সার্টিফিকেট’ নিয়েছেন, যেখানে বলা আছে যে হাইকোর্টের রায়ের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ নেই।
‘আপিল বিভাগ রায়ের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। সুতরাং প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে,’ যোগ করেন তিনি।