মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরদারিতে কারা জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘নজরদারিতে যারা আছেন সবাই আওয়ামী লীগের নেতা। বাদ কোথায়? আগে কোন দল ছিল সেটা বলে লাভ নেই। আমি আমার দলে নিলাম কেন? এখন সে আমার দলের পরিচয় ব্যবহার করছে। কাজেই আমি ঘর থেকেই অভিযান শুরু করেছি।’
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১০৭ জন নেতার দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে কতজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তা আমি ঠিক জানি না। তবে তারা নজরদারিতে আছে। নজরদারিতে থাকলে তো বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা থাকে। তবে সংখ্যাটা কত আমি জানি না।’
বিদেশি পর্যটকদের জন্য এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোনে ক্যাসিনো চালুর বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সময়ে ক্যাসিনো নীতিমালার মধ্যে এনে চালু করা হবে নাকি একেবারেই আইডিয়াটা বাদ দেওয়া হবে এ নিয়ে এখনো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।’
‘বিমান পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কোন ভাবনা থাকতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কোন আলোচনা হয়নি। তাই এ বিষয়ে এ মূহুর্তে কথা বলতে চাই না,’ যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্প্রতি দেশজুড়ে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। গত বুধবার রাজধানীর ফকিরাপুলে ইয়ংম্যান ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করে র্যাব।পরবর্তীতে ক্লাবের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে যুবলীগ। এছাড়া, রাজধানীর বনানী, মতিঝিল ও গুলশান এলাকার তিনটি ক্যাসিনো সিলগালা করে দেয়া হয় এবং আরও ৪০ জনকে আটক করা হয়।
পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাত দেহরক্ষীসহ ‘যুবলীগ নেতা’ গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করে রাখা ১৬৫ কোটি টাকার নথি এবং ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।