শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের আটটি অঞ্চলে আজ ইভিএম মেলা করেছে ইসি। বিএনপি এসব মেলার প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যান করছে।
ইসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বির্তকিত ইভিএম ব্যবহার করে পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজ শনিবার খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা অঞ্চলে ইভিএম মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব মেলাতে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবে না।’
রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং হবেও না। তার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি যে নির্বাচন করবে সেটি হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে।’
‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যত ভোট হয়েছে সব ভোট হয়েছে সন্ত্রাসমুখর, উৎসবমুখর নয়। ভোট ডাকাতি হয়েছে। জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দাবি করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দলের বারোটা বাজবে। এই কারণেই তারা একতরফা নির্বাচনের নীলনকশা করছে।
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবশ্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি সরকারকে মানতে হবে।’
অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতের শিলংয়ের আদালত বেকসুর খালাস দেয়ায় রিজভী বলেন, ‘এই রায়ে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা সম্পর্কে আমাদের শ্রদ্ধা আরও বৃদ্ধি পেল। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য আমি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আশা করব, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এ বিজয় এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয়।’