ফরিদপুরে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের পর কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের খাবার, চিকিৎসা সেবাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করছেন এমপি নিক্সন। ইতিমধ্যে ১৬০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে এবং তিনদিন পর পর এসব পরিবারের মাঝে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান নিক্সন চৌধুরী।
এদিকে প্র্রথম দফায় চলা লকডাউনে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় এলাকার তিন উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলেও নিজ হাতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের আর্থিক সহায়তা-খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
এছাড়াও তিন উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক টানেল তৈরি করেছেন।
নিজ অর্থায়নে স্যানিটাইজার, মাস্ক, পিপিই ক্রয় করে, প্রশাসন, পুলিশ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ‘রাজনীতি শিখেছি পরিবার থেকে। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবা, বড় ভাইদেরকে মানুষের সেবা করতে। রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের জন্য। আর এই দূর্যোগকালে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে আর কখন দাঁড়াব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি যাতে এই দুর্যোগে একটি মানুষও খাদ্য সংকটে বা অসহায় অবস্থায় দিন পার না করে। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, ভাঙ্গা উপজেলাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করে পৌর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউন চলছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ভাঙ্গায় এ পর্যন্ত করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৩১১ জন। তাই পৌরসভা ও চুমুরদিয়া এলাকাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (রেডজোন) ঘোষণা করে ১৬ জুন থেকে লকডাউন করা হয়েছে।