ঘটনাস্থলে মির্জা ফখরুল ও আরও কয়েকজন নেতা লাউডস্পিকারে দলের নেতা-কর্মীদের বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণ থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার কথা ভেবে বিএনপি কর্মীদের সরাতে ব্যর্থ হয় বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
যদিও বেশিরভাগ বিএনপি নেতা-কর্মীকে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে, তবে অন্যদের মাঝে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। যা এক উদ্বেগের বিষয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে বলছেন।
এমনকি, ভিড়ের কারণে গাড়িতে উঠার জন্য খালেদা জিয়াকে ১০ মিনিট হাসপাতালের নিচ তলায় অপেক্ষা করতে হয়। তিনি গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীরা তার গাড়ি ঘিরে ছিলেন।
নেতা-কর্মীদের এমন ভিড় করা নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীরা এখানে ভিড় করেছেন। তারা অনেক দিন পর তাদের নেত্রীকে দেখার যে আবেগ তা রোধ করতে পারেননি বলেই হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে অবগত আছেন। কিন্তু তারা আবেগের কারণে জীবন ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়েছেন। ‘আমরা তাদের এখান থেকে চলে যেতে বলেছিলাম, কিন্তু পারিনি। তারা আমাদের নির্দেশনা মানেননি। তবে নেত্রীর প্রতি তাদের অনুভূমি ও ভালোবাসার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি।’
এর আগে মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের বিষয়টি বিবেচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দলের নেতা-কর্মীদের বিএসএমএমইউ প্রাঙ্গণে জড়ো না হতে এবং তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সাথে তাদের খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের কাছেও জড়ো না হওয়ার আহ্বান রেখেছিলেন তিনি।