তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সরকারের সমালোচনাই বিএনপির একমাত্র কাজ, এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অথচ জনগণের পাশে তাদের পাওয়া যায় না। করোনা সংকট নয়, কোনো দুর্যোগেই বিএনপি মানুষের পাশে থাকে না। তারা ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট, দুর্নীতি আর বিরোধী দলে থাকলে আগুন সন্ত্রাস করে।’
‘আর মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। মানুষের কল্যাণই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। মানবসেবাই বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রধান ব্রত। এ জন্যই বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মতোই ভব্যিষতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল থাকবে এবং দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
এনামুল হক শামীম শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। সেই সাথে তিনি নড়িয়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভা, মসজিদ, মন্দির ও স্কুলকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে অনুদান ও ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ প্রদান এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে জাজিরা-নড়িয়া ডান তীর রক্ষা বাঁধ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুখোশের আড়ালে যতই থাকুক, ধরা পড়তেই হবে: কাদের
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাজার হাজার শ্রমিক দিয়ে নদী ভাঙন এলাকা ও বন্যার্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের মন্ত্রীরা এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিএনপি বন্যাসহ কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকেনি। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’
আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী মানবতার জননী। তিনি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন, তারা কেউ না খেয়ে থাকেননি। বাংলাদেশের একটি মানুষ না খেয়ে থাকুক, তিনি সেটা চান না। করোনা দুর্যোগে বাংলাদেশের কোথাও একটি মানুষ না খেয়ে থাকার খবর মেলেনি।’
বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে উপমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’