জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে দৃশ্যত কোন্দল থাকলেও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই তাদের দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দলে কোনো বিভেদ নেই। কোনো ষড়যন্ত্র এর ঐক্য ভাঙতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ স্বেচ্ছায় দলের বিরুদ্ধে কিছু করছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না। কিন্তু ম্যাডাম (রওশন) তার ছেলে ও আরও কয়েকজনের হাতে জিম্মি।
তিনি বলেন, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বেগম রওশন এরশাদের চিঠি তারা আমলে নিচ্ছেন না।
এক বিবৃতিতে, রওশন বুধবার পার্টির চেয়ারম্যানের গঠনতন্ত্রের ধারা ২০/১/ক দ্বারা প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ‘স্থগিত’ করে এবং মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ দল থেকে অব্যাহতি, বহিষ্কার ও কমিটি থেকে বাদ দেয়া সব নেতাকর্মীদের পার্টিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বরখাস্ত ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু দলীয় সনদ অনুযায়ী এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রওশন এরশাদের নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র ও ২০ ধারা নিয়ে রাঙ্গার বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।
তিনি আরও বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ দলীয় সনদের একই ধারা ব্যবহার করে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে রাঙ্গাকে সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। ‘তিনি সংবিধানের ওই ধারার সুবিধাভোগী ছিলেন। তখন মশিউর রহমান রাঙ্গা এই ধারার বিরোধিতা করেননি।’
এছাড়াও চুন্নু বলেন, রাঙ্গা ২০১৮ সালের কাউন্সিলের আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন। ‘সংবিধানটি কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল এবং সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন ও কাউন্সিলের পরে প্রায় দুই বছর এই সংবিধান অনুযায়ী মশিউর রহমান রাঙ্গা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কখনো এই সংবিধানের কোনো ধারার বিরোধিতা বা আপত্তি করেননি।’
আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি নিয়ে অসন্তোষের কোনো সুযোগ নেই: চুন্নু