বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তার (খালেদা) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এবং তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধানের শারীরিক অবস্থার তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতির জন্য আরও কিছু সময় লাগবে।
বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, ‘তার ডায়বেটিস, আর্থরাইটিস ও অন্যান্য সমস্যার উন্নতি হয়েছে। এই বয়সে এসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তিনি যেভাবে আছেন, আমি বলতে পারি সেটা অনেক ভালো।’
তিনি দাবি করেন, তাদের চিকিৎসায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খুশি এবং তিনি কোনো কিছু নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেননি।
মাহবুবুল হক বলেন, গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু বিবৃতি দেয়া হয়েছে। ‘আমাদের রোগী সম্পর্কে জানতে আপনারা আমাদের অথবা মেডিকেল বোর্ডকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি প্রধানের ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ‘তিনি এটা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইনসুলিন ও ওষুধ গ্রহণ করছেন। তিনি এখন আরামে আছেন।’
বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, মুখে ঘায়ের কারণে খালেদা জিয়া খাদ্য গ্রহণ করতে পারছিলেন না। ‘কিন্তু এই সমস্যার ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে এবং এখন তিনি স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে দ্রুত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তিনি পছন্দ অনুযায়ী ছোলা ও অন্যান্য ইফতার পণ্য গ্রহণ করছেন। ‘মহিলা (ফাতেমা) তার সাথে থাকছে।’
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা ছাড়া মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুবুল হক বলেন, তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবস্থা সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে কখন কারাগারে নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাদের কিছু জানাননি।
‘আসলে, আমরা চাই কখন জেলে যাবেন সেই সিদ্ধান্তটা তিনিই (খালেদা) নেবেন। হাসপাতাল ছাড়তে আমরা কোনো চাপ দিচ্ছি না,’ যোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিলান মিয়া সরকার বলেন, ‘তিনি ভালো আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’
গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।