বুধবার প্রতীকী অনশনে দেয়া বক্তৃতায় বিএনপি নেতারা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের জনগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন ঐক্যমতে পৌঁছেছে যে আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। আমাদের বিদেশি বন্ধুরাও বলছেন যে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, খালেদা জিয়া এবং বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আমরা এ ধরনের নির্বাচন আয়োজন করতে দেবো না। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেব।’
খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না নেয়ায় সরকারের সমালোচনাও করেন মোশাররফ। ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। ‘আমরা বলতে চাই ভোটারবিহীন কোনো নির্বাচন আমরা হতে দেবো না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, বৈধভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা এখন সম্ভব নয়। ‘তার মুক্তির জন্য আন্দোলনই একমাত্র পথ। আমরা আন্দোলনে আছি এবং সরকারের পতন নিশ্চিত করতে এর তীব্রতা আরো বাড়াবো।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে সঠিক সময়ে কঠোর আন্দোলনে নামবে তাদের দল। আন্দোলন সফল করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলেন মওদুদ।
প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা নানা রকম স্লোগান দেন।
পরে বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বিএনপি নেতাদের পানি দিয়ে অনশন ভাঙান।
বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর আশপাশে ব্যাপক সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।
রাজধানীর পাশাপাশি দেশব্যাপী জেলা শহর ও মহানগরগুলোতেও একই কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।