তিনি বলেন, ‘খুনের আসামিদের জামিন দেয়া হয়, অথচ বেগম জিয়ার জামিন তারা দেয় না। বেগম জিয়া বের হলেই তাদের এসব অন্যায় জনগণের সামনে তুলে ধরবেন তাই তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নতুন আঙ্গিকে ছদ্মবেশী বাকশাল কায়েম করেছে। গণতন্ত্রের ন্যূনতম যেটুকু বাকী ছিল গত এক বছরে তারা তা শেষ করে দিয়েছে। সংবিধানকে কেটে কেটে তারা তছনছ করে দিয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ শুধু মুখেই গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে। আসলে তারা গণতন্ত্রের চর্চাই করে না। আমরা দেশের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হয়,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতির আজ চরম দুঃসময় চলছে। এতবড় দু:সময় ৭১ সালেও ছিল না। ৭১ এ জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে বহি:শত্রুর বিরুদ্ধে। কিন্তু আজকের শত্রু হচ্ছে ঘরের শত্রু। ঘরের মধ্যে থেকেই তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।
‘জাতির মানুষগুলোকে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তাদের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ ভেঙে পড়েছে। তাদের কাউকেই আজ জবাবদিহি করতে হয় না। দেশে আজ ধানের দাম নেই অথচ চালের দাম বেড়েছে। বেড়েছে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম।
‘এতো দাম বেড়েছে কিন্তু আমার কৃষক আজ দাম পায় না। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পায় না, ধ্বংস হয়ে পড়েছে খুলনা জুটমিল। আমাদের কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষরা যে অন্ধকারে ছিল আজো তারা সে অন্ধকারেই রয়ে গেছে,’ বলেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ৩৬ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা এবং পাঁচশরও বেশি নেত-কর্মীকে গুম করা হয়েছে।
‘তাদের মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা আজো পথ চেয়ে থাকে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা তারা কেড়ে নিয়েছে। বিচারকেরা আজ তাদের কথায় ওঠে আর বসে। ৭১ এ সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করেছে কোনো ব্যক্তি বা দলকে সারাজীবন ক্ষমতায় বসে থাকার জন্য নয়,’ যোগ করেন ফখরুল।
এসময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের তরুণ যুব সমাজের ভূমিকা ছিল মুখ্য। ‘আজ তাদের (তরুণ) মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’