সকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে কাউন্সিল শুরু হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের টিকিটে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন মোকাব্বির। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন তিনি।
পরে ২০ এপ্রিল গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ‘গঠনতন্ত্র ভঙ্গ এবং দলীয় কর্মকাণ্ডবিরোধী’ পদক্ষেপের জন্য মোকাব্বিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোকাব্বির আজকের কাউন্সিলে যোগ দেন এবং ড. কামালের তিন আসন পরই মঞ্চে বসেন, যা দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
দলের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক ইউএনবিকে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে কামাল হোসেন মোকাব্বির ইস্যুতে ‘দ্বিমুখী রাজনীতি’ করছেন। ‘কাউন্সিলে মোকাব্বিরের উপস্থিতির প্রতিবাদে আমি তা বর্জন করে বেরিয়ে এসেছি।’
মঞ্চে মোকাব্বিরকে দেখে দলের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হন বলেও জানান তিনি।
গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদ বলেন, তাদের দল মোকাব্বিরকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মোকাব্বির তার জবাবও দেননি।
এদিকে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারী বলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে মোকাব্বির কাউন্সিলে অংশ নিতে পারেন। ‘হিংসা থেকেই দলের একটি অংশ তার (মোকাব্বির) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
এর আগে ড. কামাল হোসেন সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও গণফোরামের পতাকা উত্তোলন করে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন।
সারাদেশ থেকে আসা দলের প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি কাউন্সিলে যোগ দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় দলীয় সভাপতি কামাল হোসেনের সমাপনী ভাষণের মাধ্যমে কাউন্সিল শেষ হবে।
গণফোরামের সর্বশেষ কাউন্সিল ২০১১ সালের ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।