বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হলেও খাওয়ার ভাগ্য হয়নি শেখ হাসিনার। ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে না খেয়েই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছে। তবে এখন তার পরিচিতির কোনো কাগজপত্র নেই এবং তাকে কোনো রাষ্ট্রও গ্রহণ করছে না।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার গয়লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সুমন, লতিফ ও রশিদের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনে তার নির্দেশেই ২ হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আবু সাঈদ বুক পেতে প্রতিবাদ জানালেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে আন্দোলনের জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরদ্ধে অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে এবং নেতাদেরকে জেল জুলুমসহ নির্যাতন করা হয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আমাকেও সিরাজগঞ্জে আসামাত্রই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সে সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলত ওপরের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া শেখ হাসিনা হাইকোর্টের আদেশও মানেনি এবং অন্য বেঞ্চে আদেশ পরিবর্তন করে আমাকে ৯ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, তার এ সাজা না খেটে বিদেশ পারি দিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে এখন নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে আসতে পেরেছি। স্বৈরাচার সরকারের পাতানো নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে কেউ যায়নি। তারপরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের রাজত্বকালে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বাচ্চু, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ও ভিপি শামিম প্রমুখ।
এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি