বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন।
খারিজাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুরশীদ আলম খান বলেন, ২০০৮ সালের ১৮ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গারেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট মামলাটি বাতিল করে রায় দেয়। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে ২০১৭ সালের ৭ জুন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে আবারও নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এ মামলায় চার্জশিট দাখিলের পর অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর হাইকোর্টে আবারও মামলাটি বাতিল আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট শুনানি শেষে বলেছেন, ‘ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে কি হয়নি এটা সাক্ষ্য-প্রমাণের বিষয়। তাই আমরা মামলাটি বাতিল করতে পারি না।’
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ ওই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা রয়েছে বলে জানান খুরশীদ আলম খান।