এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়েছে।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মনির হোসেন (৪০) ও মো. মোবারক (১৭) নামের দুজন। রাকিব (১৭) ও মো. সোহেল (২৩) নামের আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অবস্থান জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খুলশী থানার এসআই নুরুল আবছার বলেন, শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে বিরোধের সূত্রপাত ঘটলেও বর্তমানে ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অবস্থান জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ত ১১টায় বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাসায় ফেরার সময় হানিফ, সুমন, ওয়াসিম ও নিপুর নেতৃত্বে লালখান বাজার কর্নার হোটেল মোড়ে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সাইদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এফাজ উদ্দিন সবুজ ও শ্রমিক লীগ নেতা কামাল হোসেন আহত হন।
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে মিছিল বের হলে সেখানে দিদারুল আলম মাসুমের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, লালখান বাজারে সংঘর্ষে আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী বলেন, দিদারুল আলম মাসুম ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই গ্রুপের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
দিদারুল আলম মাসুম দাবি করেছেন, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারীরা শনিবার তার কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছেন। তার অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার সময় তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার কর্মীরা হামলা থেকে বাঁচতে বেলালের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেছেন।
স্বেচ্ছাসেক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল বলেন, শুক্রবার রাতে আমার কর্মী সাইদুলকে মেরে আহত করে দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে বিকালে মিছিল বের করলে বাঘঘোনা কাঁচাবাজার এলাকায় তারা হামলা করে।