মঙ্গলবার বিকালে ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের পর পুলিশ ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ছাত্ররা জানায়, বিকালে রব হলের মাঠে বক্কর নামে এক ছাত্র খেলতে আসলে তাকে মারধর করে একটি গ্রুপ। এনিয়ে পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ থেমে যাবার পর সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে থেকে তিনজন এবং শাহ আমানত হলের সামনে থেকে তিনজনকে আটক করা হয় বলে জানায় হাটহাজারী থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি পাইপগান ও ১২৮ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর অস্ত্র উদ্ধার এবং ছয়জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে রাতে পাঁচটি হল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। সে সময় কাউকে আটক করা না গেলেও আজ বিকালে সংঘর্ষের পর ছয়জনকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ফেসবুকে এক গ্রুপের নাম নিয়ে অন্য গ্রুপ বাজে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের দু’টি গ্রুপ। এতে গত তিন দিনে অন্তত ১৫ জন ছাত্রলীগকর্মী আহত হন।
এ ঘটনার জেরে সোমবার সারাদিন ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয় ওই দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল এএফ রহমান, আলাওল, সোহওয়ার্দী, শাহ আমানত এবং আব্দুর রব হলে প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র আরও বলেন, ‘তল্লাশিকালে এএফ রহমান হলে পেছনের পাহাড় থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি পাইপগান ও ১২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য হল থেকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’