নিহত আজগর আলী বাবুল সর্দার (৫২) স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী এবং নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক বলে জানা গেছে। তিনি নিহত হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাছ কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ডবলমুরিং থানা পুলিশ যৌথভাবে ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বলে জানান ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদীপ কুমার দাশ।
তিনি বলেন, ‘গোলাগুলিতে আজগর আলী বাবুল সর্দার নিহত হওয়ার ঘটনায় আমরা আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করেছি। তাদের নগরীর মনসুরাবাদস্থ ডিবি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এর আগে রাত ১০টার দিকে র্যাব-পুলিশের শতাধিক সদস্যের টিম নগরীর পাঠানটুলীস্থ মাছ কাদেরের বাড়িসহ পুরো এলাকা ঘেরাও করে অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আ’লীগ প্রার্থীর অঙ্গীকার স্বচ্ছ-স্মার্ট সিটি গড়া, বিএনপি প্রার্থী চান ইসির নিরপেক্ষতা
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের হাসপাতালে নেয়ার পথে আজগর আলী বাবুল সর্দার মারা যান।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘রাতে গণসংযোগকালে পাঠানটুলীর মগপুকুর এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অনুসারীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় গুলি করে স্থানীয় মহল্লার সর্দার বাবুলকে হত্যা করেছে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে যুবলীগ কর্মী মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: চসিক প্রশাসক সুজন সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাদের গ্রুপের সমর্থকরা অভিযোগ করেন- সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর মতিয়ারপুল থেকে কদমতলী পর্যন্ত গণসংযোগ করাকালে তার উপস্থিতিতে তার সমর্থিত কর্মী মোস্তফা কামাল টিপু, মাহবুব কামাল, সাহেদ, জাবেদ, ফয়সাল,দেলোয়ার বেশ কয়েকজন তাদের সব পোস্টার প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি চালায়।
আটকের আগে বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদের বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আবু শাহ মাজার এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। বাহাদুরের সমর্থকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার সমর্থকদের ধাওয়া করে। এসময় গুলিতে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।’
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: আ’লীগের মেয়র প্রার্থীকে মাস্ক পরিয়ে দিলেন বিএনপি প্রার্থী
জানা গেছে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদের ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
অপরদিকে নজরুল ইসলাম বাহাদুর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। ২০১০-২০১৫ মেয়াদে তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।