গোলাগুলি
সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।
দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।
রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
২ সপ্তাহ আগে
সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গুলি
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শহরটির পুলিশ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রবিবার ভোর ৫টার দিকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে এসে সালমান খানের বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে ৫টি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফের সালমান খানকে হত্যার হুমকি, অভিযুক্ত আটক
পুলিশ জানিয়েছে, সালমান খানের বাসভবনের প্রথম তলায়ও একটি গুলি লাগে। বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি চালানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং কারা গুলি চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
গত বছর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জানায়, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনার কারণে কারাগারে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হত্যার উদ্দেশ্যে শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে একজন হলেন সালমান খান। হরিণ শিকারের ঘটনা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছিল বলে দাবি ওই গ্যাংস্টারের।
বিষ্ণোই জানিয়েছেন, তাঁর অনুচর সম্পাত নেহরা হামলার উদ্দেশ্যে খানের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। তবে হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নেহরাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির পর সালমান খানের নিরাপত্তা জোরদার
গত বছরের ১১ এপ্রিল আরেকটি হত্যার হুমকির চিঠি পাওয়ার পরে মুম্বাই পুলিশ সালমান খানের নিরাপত্তা লেভেল ওয়াই+ এ উন্নীত করে।
খবরে বলা হয়েছে, সালমানকে হুমকির ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক ভারতীয় ছাত্রকে লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্র!
৮ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ক্যাম্প-৮ ডাব্লিউ এর এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১০ এর এইচ ৪২ ব্লকের নজিবুল্লাহ, ক্যাম্প-৩ এর বি-১৭ ব্লকের নুরআমিন ও অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ ও আরএসও গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত: পুলিশ
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর।
৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত আরও দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে বিবাদমান কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য তা নিশ্চিত করা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠি আরসা এবং আরএসওর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, পরে খবর পেয়ে এপিবিএন ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম পরিচালিত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ১
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার পালংখালীর জামতলি ক্যাম্প-১৫ এর ব্লক জি/৪ এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুক্কুর রহমান (২২) ওই এলাকার ফয়জুল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান, বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার ১৫ নম্বর ক্যাম্প জামতলি ব্লক ই/৩-তে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) ও আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে শুক্কুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সসবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হন। অন্যদিকে, পুলিশের গুলিতে আরসার এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উখিয়া ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
আটক আরসা সদস্য ১৮নং ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের পুত্র মোহাম্মদ সাদেক (৩১)।
নিহতরা হলেন, ১৮নং ক্যাম্পের বশির আহমেদের পুত্র
আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম (৩২) ও পথচারী নুরুল ইসলামের স্ত্রী নূর হাবা (৫০) ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আসরার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরে দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ক্যাম্প ১৮ এর এল/১৭ ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হয়।
ফারুক আরও জানান, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটু দূর থেকে আরসার শীর্ষ নেতা হাশিমের লাশ উদ্ধার করে।
এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এক আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর ও নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির পরিস্থিতি থমথমে: খিয়াং সম্প্রদায়ের সবাই পালিয়েছে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার খামাতং খেয়াং পাড়ায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুইটি সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন আটজন।
এতে ঐ পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪ পরিবার এবং রুমা উপজেলার বম কমিউনিটি সেন্টারে ২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
রুমা উপজেলাতে আশ্রয় গ্রহীতাদের আজ সকালে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো ও তৈরি খাবার এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
এদিকে এঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি বলে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। দুপুরে দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি এবং ৮ মামলার পালিয়ে থাকা এক আসামিকে মিডিয়ার সামনে হাজিরকালে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানান।
গুলাগুলিতে নিহত ৮ জনের ময়না তদন্ত আজ বিকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। পরে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের মাধ্যমে লাশগুলো গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
রুমা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদ মঞ্জু বলেন, রুমা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেয়া মোট ২০টি পরিবার। পরিবারগুলোর মোট সদস্য ৬৪জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩১জন, নারী ৩০জন ও শিশু ৩ জন।
আশ্রিত ২০ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৫কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও এক লিটার করে তেল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান পিআইও।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে খামতাং পাড়ার ৬৪ পরিবারের এই পর্যন্ত প্রায় ১৮৬ জন লোক রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, আশ্রয় নেয়া লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে কেএনএফ এঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে রুমা ও থানছি উপজেলার কয়েকটি আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
১ বছর আগে
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর মধ্যে হওয়া গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি পল্লী খামতং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- লাল ঠাজার বম, সানপিথের থাং বম, ভানলাল দুহ বম ও লাললিয়ান ঙাক বম।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে খামতং পাড়ায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা ওই পাড়াতে কয়েকটি লাশ পড়ে আছে এমন খবর দেয়ার পর, দুপুর একটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, তবে লাশগুলো কোন গ্রুপের তা প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ পরিচালিত ফেইসবুক পোস্টে গোলাগুলিতে তাদের সাতজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
১ বছর আগে
বান্দরবানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৫ জঙ্গি আটক
বান্দরবানের থানচির রেমাক্রির নতুন ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে র্যাবের গুলি বিনিময় হয়েছে। এই অভিযানে পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছেন র্যাব সদস্যরা। এ সময় গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের আট সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে থানচিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার জঙ্গি সদস্যরা একটি ক্যাম্পে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ১২ জঙ্গি ও ১৪ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পাঁচ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
এ সময় জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন র্যাবের ৮ সদস্য। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও তাদের প্রশ্রয়দাতা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে র্যাব। অভিযানে এখন পর্যন্ত জঙ্গি সংগঠনের ৪২ সদস্য এবং কেএনএফের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর এবং তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি আস্তানা শনাক্তের পর সোমবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করলে গুলি ছুড়ে জঙ্গিরা। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলির পর জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালায়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভোরে অভিযানে নামেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতিতে টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টাগুলি শুরু করে।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আস্তানা থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠন 'জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া'র শীর্ষ নেতা, শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এঘটনায় বিস্তারিত জানাতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রেসব্রিফিং করার কথা জানিয়েছেন র্যাব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্ধার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ
১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
১ বছর আগে
উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী নবী হোসেন গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রেজুআমতলী সীমান্তে মিয়ানমারের ফের গোলাগুলিতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামংখালীর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে নারী-পুরুষ দু’জন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। এ সময় সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের ২০-৩০ অস্ত্রধারী বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট উভয় পক্ষের গোলাগুলি চলে। পরে অস্ত্রধারীরা মিয়ানমারের পাহাড়ে পালিয়ে যায়।’
এদিকে বিজিবি তাদের লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি এর অধিনস্থ বালুখালী বিওপি হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার-২০ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব কোণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী নামক এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল নিকটাবস্থানে টহলরত থাকা অবস্থায় দ্রুত উক্ত সংঘর্ষ এলাকায় গমন করে রণকৌশলগত অবস্থান নেয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে ফায়ার শুরু করে।
উক্ত সময়ে বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থানে থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ফায়ার করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় বালুখালী বিওপি হতে অতি দ্রুত আর একটি টহল দল প্রতিহতরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সময় পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম বিওপি হতেও আরও একটি টহল দল পিকআপ যোগে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করে।
বিজিবি তড়িৎ এবং সুসংহত তৎপরতায় উক্ত ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এছাড়া ফায়ারের ঘটনায় বিজিবি টহলদলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন সদস্য আহত/নিহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
বর্তমানে সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
১ বছর আগে