সেই সাথে তিনি ধর্ষণ আইনের যেন অপব্যবহার না হয় সেজন্য সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ধর্ষণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তদন্ত থেকে বিচার ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া আইনি জটিলতা দূর করে ধর্ষিতার বিচার প্রাপ্তি সহজ করতে হবে। ধর্ষণ নির্মূল করতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষিতার পক্ষে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উত্তরার বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব আলী, জেলা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কমিশনার এসএম ওয়াহিদুল হাসান সেনা এবং খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও খোলাহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বুলু জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জারি করা অধ্যাদেশ অনুমোদন করায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান জিএম কাদের।
তিনি সোমবারের মন্ত্রিপরিষদ সভায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়া নীতিগত এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যকে ধন্যবাদ ও অভিন্দন জানান।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর জিএম কাদের এক বিবৃতিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ওই বিবৃতিতে তিনি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তিন মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করে মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিও জানান।