এ ঘটনায় শনিবার সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দলীয় অফিসে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নিয়েছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর রেজুয়ান হোসেন অভিযোগ, ‘গত ১৮ জুলাই নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে ত্যাগী ও মাঠের রাজনীতি করা নেতাদের বাদ দিয়ে, কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রী, ভ্যানচালক, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া, মিছিল মিটিংয়ে থাকেন না এমন ব্যক্তিদের ও যুবদলের লোকজনকে আহ্বায়ক পদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, যারা সরকারের মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন তাদের নাম বাদ পড়ায় এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে যারা কখনই অংশগ্রহণ করেননি তাদেরকে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার প্রতিবাদে আমরা কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি এবং কমিটির বাতিল না করা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ থাকবে।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু বক্কর বলেন, ‘আমরা ৮টি ইউনিয়নে সমন্বয় করে জেলায় তথ্য জমা দেয়ার পর জেলা আহ্বায়ক কমিটি প্রকৃতদের মূল্যায়ন না করে যারা আওয়ামী লীগের নির্বাচন করেছে, যারা বিএনপিতে কখনই সক্রিয় নয় এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাদেরকে দিয়ে ধামইরহাট থানা বিএনপির কমিটি করা হয়েছে। আর আমরা যারা সরকারের মিথ্যা মামলায় জর্জরিত তাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি, তাই আমরা এই কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি এবং অচিরেই আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করব।’
তবে নতুনভাবে ঘোষিত পৌর কমিটির আহ্বায়ক আজমল হোসেন চৌধুরী শাহান বলেন, ‘বর্তমান পৌর কমিটির সম্পাদক বিনা কাউন্সিলে, আসলে আমরা পকেট কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি এজন্যই তারা এখন আবল-তাবল বকছে। আমরা ঘোষিত উপজেলা ও পৌর কমিটি বৈধ।’
অফিসে তালা ঝুলানো প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মাস্টার বলেন, ‘যারা উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটিতে নাই তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। বড় দল কিছু ঝামেলা সবসময়ই থাকে। তবে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটি ঘোষণা হলে সকলে বিভেদ ভুলে এক সাথে কাজ করবে।’