তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অযোগ্য ও ব্যর্থ। তাদের দায়িত্বে থাকা উচিৎ নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিৎ। তাদের পদত্যাগ করতে দেরি হওয়াটা প্রমাণ করে তাদের আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই।’
আরও পড়ুন:সরকার উন্নয়ন সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে: বিএনপি
সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলে তিনি।
পৌরসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে দুপুরের মধ্যে বেশ কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচনের খবর জানতে পেরেছি, কেন্দ্রগুলো দখল হয়েছে। বিশেষ করে এ ধরনের কয়েকটা হলো পাবনার চাটমোহর ও শাহাজাতপুর।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির বিক্ষোভ
তিনি বলেন, ‘আজকে ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিছু খবর পেয়েছি যে কেন্দ্র দখল হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমরা জানিনা।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএম দেশের জন্য উপযোগী ব্যবস্থা নয়। ইভিএম একেবারে স্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনেও আমরা বলেছিলাম উদ্দেশ্যে কাজ করছে। সেই উদ্দেশ্যেটা হচ্ছে পুরোপুরি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন:ইসিকে যোগ্য রেফারির ভূমিকা পালনের আহ্বান বিএনপির
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য যেসব দেশে ইভিএম চালু রয়েছে সেসব দেশে ভোট দেয়ার পর রিসিভ কপি দেয়া হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সেটি নেই। ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট সুষ্ঠু হলো কি হলো না, এ কথা জানার কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ একজন ভোটার যেখানে ভোট দিতে চায় সেখানে গেলো কিনা সেটা জানার কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে আপনার ভোটের জালিয়াতি কারচুপি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়ে গেছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে সম্পর্কে বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে খোরগোশ ও কচ্ছপের গল্পটা মনে করিয়ে দিবেন। খোরগোশ ও কচ্ছপের গল্পটি উনি যদি একবার মনে করেন তাহলে কচ্ছপেই শেষ পর্যন্ত জেতে। সেই জয়টাই আমাদের হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিয়ে ৪২ জনের বিবৃতির খসড়া বিএনপির তৈরি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণ কি চায়, কি চায় না সেটা প্রমাণ হবে একটা অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন দেয়া হয় এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তাহলে সেটাই প্রমাণিত হবে, তার আগে এমন আগাম কথাবার্তা বলে জনগণের চাওয়া না চাওয়া হয়ে গেল। জনগণের সাথে তো তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
তারা এখন জনগণকে বাদ দিয়ে অন্য এক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকরী বিএনপি: কাদের
এ সময় ঠাকুরগাঁও বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।