তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপির নেতারা) নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। নির্বাচনে জেতার তাদের কোনো লক্ষণ নেই, সেটা নিশ্চিত জেনেই তারা আবোল-তাবোল বলছে। কখনো নির্বাচন কমিশনকে, কখনো ইভিএম নিয়ে আবার কখনো সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রেখে যাচ্ছে। এগুলো মূলত নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্যই এবং সেটাই তারা করে যাচ্ছে।’
সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে- সাংবাদিকরা এমন প্রসঙ্গ আনলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এসব কথা-বার্তায় একটা বিষয় দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ হচ্ছে লোক দেখানো। মূলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই হচ্ছে তাদের বড় টার্গেট।
‘বিএনপির এসব আচরণ, কথাবার্তা দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ লোক দেখানোর জন্য। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং লোক দেখানোর জন্য নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছে এবং তারা ইভিএমকে যতটুকু বিরোধিতা করছে তার চেয়ে বেশি নির্বাচনকে বিতর্কিত করতেই এসব কথা বলছে,’ যোগ করেন তিনি।
রাখাইনে ইকোনমিক জোন করতে যাচ্ছে চীন। এতে করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আশা ক্ষীণ হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মিয়ানমারের সাথে চীনের যে সম্পর্ক সেখানে তাদের স্বার্থ সম্পর্কিত যেকোনো বিষয় নিয়ে চুক্তি হতে পারে। কারণ, মিয়ানমারে চীনের ইনভেস্টমেন্ট আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার মতো সেরকম কিছু দেখছি না। এরকম কিছু হলে অবশ্যই আমরা অবজেকশন করব। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে অবশ্যই বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে।’
রাষ্ট্রদূতের সাথে কী বিষয়ে আলোচনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমাদের সাথে দুটি প্রকল্প আছে, প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।