শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সদ্য প্রয়াত উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি দেয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের না যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক, কারণ তাদের দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকলেও যারা দুয়ার খুলেন না তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন, না এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
‘যে দলের নেত্রী নিজের জন্ম তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করার জন্য কেক কাটেন তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না, এটাই খুব স্বাভাবিক,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা হাত প্রসারিত করেছি, আপনারাও হাত প্রসারিত করুন। তাহলে আপনাদের রাজনীতি বাঁচবে, বিএনপি টিকবে।’
প্রয়াত নুরুল আলম চৌধুরী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সাথে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় নেতা। তার মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদকে হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।