বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এস এম মবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
আড়ও পড়ুন:
লন্ডনে চিকিৎসা নিতে জামিন চাইলেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে পরিবারের আবেদন
পরে কায়সার কামাল বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট তাকে (খালেদা) এ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ রুল অ্যাবসুলেট (যথাযথ) করেছেন। ফলে এ মামলায় তিনি স্থায়ী জামিনে থাকবেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ওই সমাবেশে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’
খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য সে সময় বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেন নড়াইলের জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ইমাম। পরে তিনি ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরও একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।