বিএনপি চেয়ারপার্সন
আপিল বিভাগে মেয়র জাহাঙ্গীরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তবে, এদিন আদালত মেয়রকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেননি। তার বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে কোর্টে ফের হাজির হতে হবে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট আপিল বিভাগ তাকে তলব করে।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করেন। নোটিশে বিচারপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করায় কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চার আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ওই আদেশ দেন।
আবেদনকারী চার আইনজীবী হলেন- হারুন অর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলে জাহাঙ্গীর আলমের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীরা এ আবেদন জমা দেন।
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম থেকে জাহাঙ্গীরের মন্তব্যসহ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়া পৌর মেয়রের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জানা গেছে, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি দিনাজপুর পৌরসভার পরপর তিনবারের নির্বাচিত মেয়র।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১ বছর আগে
বগুড়ায় সোমবার ‘তারুণ্যের সমাবেশ’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও দেশবাঁচাতে ১৬ জেলার তারুণ্যের সমাবেশ সোমবার (১৯ শে জুন) বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি- সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সিএনজি’র ধাক্কায় স্কুলছাত্রী নিহত
উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ সফল করতে রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বগুড়ায় স্মরণীয় সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, এ সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ ধুনটে শনিবার রাতে থানায় একটি গায়েবী মামলা করেছে। এ মামলায় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বহু নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা এজাহার দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী, হয়রানী ও গ্রেপ্তার করছে।
তিনি পুলিশের এ সব কর্মকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন চাকরি দেওয়া হয় না। কোনো বাধা তারুণ্যের সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না। বগুড়ায় সবচেয়ে বড় সমাবেশ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সব ধরনের বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করতে তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। তাই তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান আসুন এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতিকাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশারসহ জেলা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হালখাতার মাইক টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
১ বছর আগে
সিলেটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির গ্রেপ্তার
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস।
তিনি বলেন, উনার বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিলো। সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে সিলেটেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই শনিবার সিলেটে আসেন মুক্তাদির। এরপর ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির গত সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন থাকার পর মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে চিকিৎসকরা ম্যাডামকে (খালেদা) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে তিনি এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তিনি ক্লিনিক্যালি স্থিতিশীল, কিন্তু নিরাময় এবং রোগমুক্ত নয়... করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে আপাতত বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এরপর যদি কোনো সংকট দেখা দেয়, আমরা তাকে আবার হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত।’
তিনি জানান, তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন।
ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞসহ বিদেশের পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলেরই একই মতামত, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদার রোগের শেষ চিকিৎসা হলো লিভার প্রতিস্থাপন, কিন্তু তিনি এখন সেই অবস্থানে নেই।’
মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ রয়েছে, তবে তার অসুস্থতার জন্য তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আমরা লক্ষ্য করছি যে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এই হাসপাতালের ৩৮০ জনেরও বেশি স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, মেডিকেল বোর্ড তাকে ছেড়ে দেয়ার এবং আমাদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে তার চিকিত্সা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের উৎস বন্ধ হয়েছে। তিনি এখন ব্যাপক রক্তক্ষরণে ভুগছেন না। কিন্তু কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না যে আবার তার বেশি রক্তপাত হবে না।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
২ বছর আগে
ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বাড়ি ফেরার প্রায় এক সপ্তাহ পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য শনিবার ফের রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় অসুস্থ হয়ে এ বছর তৃতীয়বারের মতো তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি ৫টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া)ফলোআপ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ (শনিবার) দুপুর তিনটার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে এ বিষয়ে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এর আগে গত ১২ অক্টোবর জ্বর ও অন্যান্য বেশ কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় খালেদাকে দ্বিতীয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর তিনি বাড়ি ফেরেন।
খালেদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।
বিএনপি প্রধানের শরীরের একটি অংশে একটি ছোট লাম্প থাকায় ২৫ অক্টোবর তার একটি অস্ত্রোপচার ও বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।
পরে,তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল এবং ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস,চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
২ বছর আগে
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদনে অনুমতি দেয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি।’
আইন মন্ত্রণালয় রবিবার সকাল ১০টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জনিত কারণে বিদেশ সফর সংক্রান্ত এক নথিতে বলেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন একজন আইনত সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তিনি বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, ফৌজধারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার ( খালেদা জিয়ার) দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। এখন নতুন করে আবার শর্ত শিথিল এবং তাদের আবেদনের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে যে দু’টি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে সেই শর্ত দু’টি ছিল- বাসায় থেকে এবং দেশে থেকে চিকিৎসা নিবেন।
তিনি বলেন, একবার যখন একটি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ৪০১ ধারা কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে, সেজন্য আরে তা রি-ওপেন করার সুয়োগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশ যাত্রা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের নথি স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে
এর আগে গত বুধবার (৬ মে) রাতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসভবনে তার সাথে দেখা করেন। তখন তিনি খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অবশেষে ২৭ দিন পর করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
রবিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন ইউএনবি কে বলেন, “শনিবার করা ম্যাডামের করোনা টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।”
চিকিৎসক দলের অন্য সদস্য জানান, খালেদা জিয়াকে এখনও অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়া প্রথম ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। শুরুতে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও, পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি করোনা পজিটিভ হন। এরপর তার সার্বিক চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সোমবার (৩ মে) তাকে সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।
৩ বছর আগে
বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির আন্দোলনকে গণতন্ত্র ফিরে পাবার আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩ বছর আগে
উপনির্বাচন: ২ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে এবং নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়ার ৪ মামলার স্থগিতাদেশ আপিলেও বহাল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও ভাঙচুরের অভিযোগে তিনটি ও মানহানির অভিযোগে করা একটি মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
৪ বছর আগে
বড়পুকুরিয়া মামলা: খালেদাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
৪ বছর আগে