তিনি সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন। সত্য কথা বলা এবং ভুলভ্রান্তি স্বীকার করার সৎ সাহস তার আছে।
‘প্রধানমন্ত্রী ইমিউনিটি কালচার (ছাড় দেয়ার সংস্কৃতি) সৃষ্টি করেননি। তিনি যেখানে অপরাধ হয়েছে সেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন,’ যোগ করেন কাদের।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, যত শক্তিশালী হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি জাতির কাছে এই যে অঙ্গীকার নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন সেটা অব্যাহত থাকবে। ‘তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন মানুষের হক যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সেটা তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি বলেছেন আমি আপনাদের হয়ে থাকতে চাই। তার মানে আপনাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে আমি আছি।’
শেখ হাসিনা তার ভাষণে দেড় কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন সেই প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, ‘কাজেই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী (ভাষণে) কিছু বলেননি, এটা ঠিক নয়।’
‘আবার এ কথাও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ভুলভ্রান্তি এবং অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে পথ চলব। তার মানে ভুল হতেও পারে, আমাদের বড় বড় সাফল্যের পাশে ব্যর্থতা আছে, ভুলত্রুটি আছে। এ ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন করে পথ চলার অঙ্গীকারও প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দিয়েছেন। এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মূল ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন।
মেট্রোরেল নির্মাণে সময় বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোম্পানির সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে তাদের টেকনিশিয়ানদের সাথে কথা বলেছি। সবার সাথে আলাপ আলোচনা করেই তারা যে সময় দিয়েছে তার চেয়ে সময় আমরা আরও বাড়িয়েছি। তারা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করবে বলে বলেছিল। আমরা এরপরও ২০২১ এ চলে গিয়েছি। আমাদের আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে। সেসব কাজ শেষ করার জন্য সর্বশেষ আমরা ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এরমধ্যে আমার মনে হয় কাজ হয়ে যাবে।’