আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৪৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ইতিহাস থেকে তাকে মুছে দিতে চেয়েছিল ইতিহাস তাদের ভুলে গেছে।
শনিবার কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে আইডিইবি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়ন’ বিষয়ক একটি সেমিনারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। সেমিনারের পর অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
‘যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা একই ট্র্যাজেডির সাক্ষী ছিল’ এই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, হত্যা হত্যাকাণ্ড আনে এবং হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি বলেন, ইতিহাস কখনো কোন স্বৈরশাসকের কাছে মাথা নত করে না।
করোনাভাইরাসের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই ধরনের সংকটে সকল রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি থাকা উচিত, যা জনগণকে বাঁচানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাতি এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশিক্ষিত জনশক্তির যে চাহিদা তৈরি হবে বাংলাদেশ যেনো তার সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারে-এ ব্যাপারে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করুন: বিএনপিকে কাদের
সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কাদের বলেন, বিএনপি এর আগে টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিল। করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। বিএনপির অভ্যেস হয়ে গেছে সবকিছুতে ষড়যন্ত্র দেখা।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী একেএম হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান এবং অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সমালোচনাকারী বিএনপি নেতারা এখন টিকা নিয়েই স্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী