বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে গুলিবর্ষণ ও সংর্ঘষের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৭৮ জনপ্রতিনিধি পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে বিকেল ৩ টায় প্রথমে সংবাদ সম্মেলন করেন বরিশালের ২৬ পৌরসভার মেয়ররা। এসময় বক্তব্য দেন গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মো. হারিস।
২৬ পৌর মেয়রের পক্ষে মেয়র হারিস বলেন, ‘সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে তাকেই আবার মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেবল একজন জনপ্রতিনিধিরই সম্মান ক্ষুন্ন হয়নি, পুরো রাজনীতিকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে আমরা মনে করি।’
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র অফিসে হামলা: গ্রেপ্তার ২১
একই স্থানে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলার ৬৭ জন চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানদের পক্ষে দেয়া বক্তব্যে গৌরনদীর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুন্নাহার মেরী বলেন, ‘সবার আগে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন জনপ্রিতিনিধির অসম্মান আমরা কোন অবস্থাতেই মেনে নেবনা।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বরিশালে পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে সদর উপজেলা ইউএন’র সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় গুলির ঘটনায় আহত হন অনেকে। পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। যাতে ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে করা হয়েছে প্রধান আসামি।
আরও পড়ুুুন: বরিশালে ২ মামলা, প্রধান আসামি মেয়র