আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের ১২টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। এই আসনে ১৮২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং এরমধ্যে সাধারণ কেন্দ্র ৫১টি এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ১৩১টি।
রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবান আসনের ১৮২টি ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সব ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাত উপজেলার ইউএনওগণ রিপোর্ট করেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, তিনি নিজেই বান্দরবান সদর উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা, সহকারী কমিশনার ভূমি নার্গিস সুলতানা ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবান আসনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ছয়বারের নির্বাচিত এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি সমর্থন নিয়ে লড়ছেন এমএম শহীদুল ইসলাম।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার প্রচার অব্যাহত রেখেছেন।
রির্টানিং অফিসার জানান, দুর্গম ও যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় ১২টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, রুমা উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ৭টি ও আলীকদম উপজেলায় ১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের সাত উপজেলার দুই পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৮হাজার ৫৮৩জন ও নারী ভোটার ১লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন। ১৮২টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৭২৭টি।
বান্দরবানের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গম এলাকার ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা নেওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্গম এলাকায় একদিন পূর্বে এবং সড়ক যোগাযোগ আছে এমন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ইকোট্যুরিজম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব