রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ‘কার্যকর গণতন্ত্র’ নিশ্চিত করতে গত শনিবার বদরুদ্দোজার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’র ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-একাদশ সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা এবং নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়া, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা ইসির ওপর ন্যস্ত করা, নির্বাচনের এক মাস আগে এবং নির্বাচনের পর ১০ দিন পর্যন্ত মোট ৪০ দিন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রছাত্রীসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি এবং এখন থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করা এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ গণমুখী করে সংশোধন করা।
দাবিগুলো নাকচ করে দিয়ে তোফায়েল বলেন, ‘একটি দল নতুন জোটে যেতেই পারে। আমরা ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সূচি অনুসারে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে’ ঘোষিত দাবিগুলো সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল বলেন, ‘ড. কামাল পূর্বের কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেননি। আশা করি তিনি এবার জিতবেন।’ কিন্তু ঘন ঘন রাজনৈতিক দল পরিবর্তনকারীদের জনগণ পছন্দ করে না বলেও মনে করেন তিনি।