সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এসময় বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘দুর্নীতি-অনিয়মে সরকারি মদদ’ -এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে এবং সাহেদের প্রতিষ্ঠানের এমডিকে গতকালই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠানের আরও অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছিল, সহসা সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে তারা সক্ষম হবে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে এবং এ নিয়ে বিএনপি এতোদিন যা বলে এসেছিল, সেগুলো তারই ধারাবাহিকতা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। আপনারা দেখেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের সেটি কখনই দেখা হয়নি। যদি আওয়ামী লীগের কেউ হয়, এমনকি পদধারী নেতাও যদি হয়, তার বিরুদ্ধেও কিন্তু অতীতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
‘আর যদি সাহেদের মদদদাতা ধরতে হয়, তাহলে হাওয়া ভবন থেকে যারা মদদ দিয়েছিল এবং স্কাইপিতে যখন তারেক রহমানের সাথে সে কথা বলে, সে ব্যাপারে বিএনপি কি বলবে’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। অবশ্যই সাহেদের অপকর্মের সাথে যদি অন্য কেউ যুক্ত থাকে, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলেন তিনি।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, ‘বিক্ষোভ যে কারো বিরুদ্ধেই হতে পারে, যে কেউ তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে চুক্তি করে, তখন প্রথম থেকেই তাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন ছিল । তাহলে সাহেদের রিজেন্ট কিম্বা জেকেজি’র মতো প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতো না।’
প্রসঙ্গত, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।