কারাদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন আবেদেনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
নিম্ন আদালতে হারুনকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করার আদেশও হাইকোর্ট স্থগিত করেছে।
হারুনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধিত্ব করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
শুল্ক ফাঁকির মামলায় গত ২১ অক্টোবর ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪ এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সেই সাথে এ মামলায় এনটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তারা উভয়ে পলাতক আছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, হারুন ২০০৪ সালে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় একটি শুল্ক মুক্ত গাড়ি আমদানি করেন এবং পরে ইশতিয়াকের সহযোগিতায় তা ৯৭ লাখ টাকায় এনায়েতুরের কাছে বিক্রি করে দেন।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইউনুস আলী ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ১৮ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০ আগস্ট বিচার শুরু করে।