এমপি
এমপিদের ব্লক বরাদ্দ: জনগণের অর্থের ‘অপব্যবহার’ ও 'অপচয়' নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পর, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও অপচয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টিআইবির এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের বিষয় প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা করে নিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ: অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজশ এবং কমিশন বাণিজ্যের ফলে স্কিমের কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিল না এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সময়ের সঙ্গে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বাড়লেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। ফলে এইসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই প্রকল্প সংসদ সদস্যের একাংশের জন্য স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে আসছে। ফলে এ ধরনের প্রকল্প অনিয়ম-দুর্নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বাভাবিকতায় পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ২০২০ সালের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিল টিআইবি। কিন্তু এই সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ ব্যবহারে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, প্রকল্প ও স্কিমসমূহে কার্যকর তদারকি এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সততা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
নতুন করে থোক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুর আগের বরাদ্দগুলোর নিবিড় ও নিরপেক্ষ নিরীক্ষার দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, প্রকল্পের স্কিমসমূহ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
সংসদ সদস্যদের সম্পদ কীভাবে বহুগুণ বেড়েছে তা সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাংলাদেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিপিডির এই ফেলো বলেন, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদ বৃদ্ধির হার দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। যেখানে একটি প্লটের দাম ১ কোটি টাকা; তা মাত্র এক লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।’
তারপরও সম্পদ শতগুণ বেড়ে যায়, তাহলে আসল চিত্রটা কী? অধ্যাপক মুস্তাফিজ প্রশ্ন তোলেন, 'এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে না আসলে সম্পদ কতটা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় অনেকের সম্পত্তি শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তা দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
অধ্যাপক মোস্তাফিজ বলেন, ‘ওই সম্পত্তিগুলো এত বেড়েছে যে সরকার এবং তাদের দলের উচিত এই সম্পত্তিগুলোর উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তাদের সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, সবকিছুই একটি 'অসাধু চক্রের’ তৈরি।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়ছে এবং আগ্রাসী ঋণ প্রদানের কারণে কিছু ব্যাংকও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
এটি নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত, অন্যথায় কেউ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এটি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বলেও জোর দেন সিপিডির এই ফেলো।
তিনি বলেন, 'আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের বিষয়টি আগেও বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য আইনগত দুর্বলতা ও বিধি-বিধান ঠিক করতে হবে। কারণ ব্যাংকিং খাত অর্থনীতির রক্ত। এই খাতের সমস্যা পুরো অর্থনীতির উপর পড়ে,’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, খেলাপির বিপরীতে ব্যাংককে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রভিশন করতে হয়। এর মানে হলো, টাকা অর্থনীতিতে অংশ নিতে পারছে না, ব্যাংকে পড়ে আছে।
এতে করে ব্যাংকের ঋণ দেয়ার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং আয় কমে যাচ্ছে।
ড. মোস্তাফিজ বলেন, ধরুন ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে সুদ দিচ্ছে, কিন্তু ব্যাংক ১০০ টাকার মধ্যে ৮০ টাকা ঋণ দিতে পারছে। অর্থাৎ ঋণের সুদের হার বাড়াতে হবে, এটি আবার বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকা নিজেদের সুবিধার জন্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা (নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করে।
প্রয়োজনে ভেনেজুয়েলার মতো দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। অতএব, এটি জোর দেওয়া উচিত যে তারা অনুমোদন করবে কিনা সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে তারা অনুমোদনের সুযোগ পাবে না। আমাদের শ্রমিকদের মজুরি ও অধিকার নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গার্মেন্টস শিল্পকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। বিশ্বের পোশাকের বাজার ৭০০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মতো বড় খাত আর নেই। রপ্তানি বৈচিত্র্যময় করতে হবে, নতুন বাজারে যেতে হবে।
এখনও এই বাজারের একটি বড় অংশ দখল করার সুযোগ রয়েছে, এর জন্য বাংলাদেশকে আরও আধুনিকীকরণ করতে হবে।
তিনি চামড়া খাত ও ওষুধ রপ্তানির ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। বৈশ্বিক বাজারে এই পণ্যগুলোর জন্য একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যত রয়েছে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থীর সম্পদের যে ঘোষণা দেখানো হয়েছে তা আলাদিনের প্রদীপের গল্পের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব, কারণ এটি কেবল বিরোধী দলের নেতা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিপীড়ন ও হয়রানির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আসন্ন একদলীয় ও নাটকীয় নির্বাচনে তাদের (আওয়ামী লীগের) মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ডামি ও সুবিধাভোগী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হলফনামা আরবি রূপকথার বিখ্যাত আলাদিনের চেরাগের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থী তাদের হলফনামায় বিদেশের উঁচু এলাকায় বাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট দেখিয়েছেন এবং ডুপ্লেক্স সহ আরও অনেক কিছু তাদের হলফনামায় প্রমাণিত হয়েছে যে তারা স্বর্গে বাস করছেন।
রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মন্ত্রী এমপিরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা গত ১৫ বছরে বিপুল সম্পদ ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের স্ত্রী, সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও অস্বাভাবিক ধনী হয়েছে।’
রিজভী বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ রাজনীতিবিদদের কোনো ক্ষতি নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই, লোকসানের ঝুঁকি নেই। তারা যে ব্যবসাই করুক না কেন, তারা শুধু মুনাফা অর্জন করে। তাদের কেউই শেয়ার ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হননি। কৃষি ও মাছের ব্যবসায়ও তারা অনেক বার লাভবান হয়েছে। স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকা ও সম্পদ উপার্জন করে স্বামীর ব্যবসা রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আওয়ামী লীগের ম্যাজিক স্টিকের ছোঁয়ায় সম্পদের পাহাড় ও গাড়ির বহর গড়ে তুলেছেন। ১০ বছর আগে যেসব মন্ত্রীর বার্ষিক আয় এক লাখের নিচে ছিল, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এখনও তাদের মূল সম্পদের খুব কম সম্পদ দেখিয়েছেন। তারা তাদের হলফনামায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ, বিদেশে সেকেন্ড হোম এবং বিদেশে পাচার করা অর্থের কথা উল্লেখ করেননি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তাদের লক্ষ্য লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। হলফনামায় লুটেরাদের সামান্য সম্পদই বেরিয়ে এসেছে। সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাদের সম্পদের অনেক তথ্য গোপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে দুদক নীরব, কারণ তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে। আওয়ামী লুটেরাদের সম্পদ দেখে তারা অন্ধ হয়ে যায়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘দুদককে একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে কারণ এর বর্তমান কাজ হচ্ছে বিএনপি নেতা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের খুঁজে বের করা।’
তিনি দাবি করেন, বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সীতাকুণ্ড আসনের এমপি দিদার
মনোনয়নপত্র দাখিল করার ১২ ঘণ্টা না যেতেই নৌকা প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের বর্তমান এমপি দিদারুল আলম।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দিদারুল আলমের সিটি গেটের বাসভবনে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সামনে তিনি নির্বাচন না করার এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড এবং আকবর শাহ ও উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ড) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর অর্থাৎ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বর্তমান এমপি দিদারুল আলম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু নৌকার বিরুদ্ধে কোনো দিনই প্রার্থী হতে পারি না।
আমি আগেই বলেছিলাম, শেখ হাসিনা নৌকা যাকে দেবেন আমি তার পক্ষেই কাজ করব। আমি সীতাকুণ্ডে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।
আশা করব সীতাকুণ্ড আসনে নৌকা মাঝি যিনি বিজয়ী হবেন তিনি আমার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে নিক্সন চৌধুরীর হাজিরা
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগে এমপি মোস্তাফিজুরকে শোকজ
চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। এরপর ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে, ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঘটনা তদন্তে যুগ্ম জেলা জজকে প্রধান করে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি করেছে ইসি।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে কিলঘুষি মারেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
এর পরপরই তার সমর্থকরা সাংবাদিকদের উপর হামলা ও ক্যামেরা ভাঙচুরের পাশাপাশি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন মাইক্রোফোনের তার। এতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন এবং ৭১ টিভির সাংবাদিক প্রণবেশ চক্রবর্তীসহ ৪/৫ জন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্চিত হন।
এ ঘটনার পর পরই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই এমপিকে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি সব জায়গায় বিতর্কিত কাজ করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে মেয়র ও ৫ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে শোকজ
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্য নিষ্ঠুর: গণতন্ত্র মঞ্চ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের বক্তব্যকে নিষ্ঠুর ও নৃশংস আখ্যায়িত করেছে কয়েকটি বিরোধী দল ও সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, চিকিৎসা পাওয়া তার নাগরিক ও মানবাধিকার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নিলে যেকোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির পুরো দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু'র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
ওমানে বাংলাদেশি এমপিসহ ১৭ জনের মুক্তি
বাংলাদেশের বর্তমান সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ারসহ ১৭ জন বাংলাদেশিকে ওমানে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কেউ পুলিশ হেফাজতে নেই। ১৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বৈঠক করার অনুমতি না থাকায় তাদের আটক করা হয়েছিল। ওমানে বৈঠক করার জন্য অনুমতি লাগে।
আরও পড়ুন: ৫ জুন থেকে ওমানে ফ্লাইট শুরু ইউএস-বাংলার
আটকের পর ওমানে বাংলাদেশ মিশন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার মাস্কাটের হাফফা হাউস হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
খাদিজাতুল আনোয়ার চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এমপি হিসেবে শপথ নেন।
তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সাবেক এমপি প্রয়াত রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে বাংলাদেশ সফর বিবেচনা করার প্রত্যয় ওমান সুলতানের
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রশংসায় ওমান
লিভ টু আপিল খারিজ, ২৯০ এমপির শপথ বৈধ
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সাত বিচারপতি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, এ রায়ের ফলে ২৯০ এমপির শপথ যে বৈধ ছিল তা সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও প্রমাণিত হলো।
আরও পড়ুন: ফখরুল ছাড়া বিএনপির নির্বাচিত সব এমপির শপথ গ্রহণ
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ২৯০ জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। তার আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। সেই সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জানুয়ারি।
সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ হিসেব করা হয় প্রথম অধিবেশন থেকে পাঁচ বছর। কিন্তু দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একাদশ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন, যা নিয়ম বহির্ভূত।
এই শপথের বৈধতা নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন।
সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
তারপর রিট আবেদনকারী ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। যে আবেদন আজ (মঙ্গলবার) খারিজ করা হলো।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত দুই এমপির শপথ ৭ মার্চ
নির্বাচনকালীন সরকার বিরোধী দলের এমপিদের সংসদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতিতে দেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ওয়েস্টমিনস্টার টাইপের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। ব্রিটেনের মতো আমরা নির্বাচন করব। হ্যাঁ, আমরা উদারতা (নমনীয়তা) দেখাতে পারি যে সংসদে এমপিদের (অন্যান্য বিরোধী দল) মধ্য থেকে কেউ যদি নির্বাচনকালীন সরকারে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে, আমরা তাদের নিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
একথায় তিনি সংসদের বিরোধী দলের এমপিদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে বিরোধী দল বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যই সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন তারা (বিএনপি) সংসদে নেই। সুতরাং, তাদের সম্পর্কে চিন্তা করার কিছু নেই।’
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৯ মে মাস পর্যন্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তার সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের উদারতা দেখিয়েছিল এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ওই নির্বাচনকালীন সরকারে তার দলের প্রতিনিধিত্ব করতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি তা করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তারা (বিএনপি) সংসদে নেই। সুতরাং, তাদের সম্পর্কে চিন্তা করার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: শুধু ঢাকাতেই দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বরগুনার এমপির বিরুদ্ধে টিআর কাবিখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে টেস্ট রিলিফ (টিআর) কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চেয়ে দুদকে করা স্থানীয় এক বাসিন্দার আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার পাথরঘাটা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার টিআর কাবিখা প্রজেক্টের বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাটের অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমন, বরগুনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
দুদকের চেয়ারম্যান, দুদকের কমিশনার (তদন্ত), বরগুনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পাথরঘাটা, বেতাগী, বামনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
গত বছরে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কাজ না করেই কোটি টাকার টিআরের বরাদ্দ লোপাটের অভিযোগ’- শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদে বলা হয়, বরগুনার পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ না করে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও কাজ না করেই টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে এসব তথ্যের সত্যতা মিলেছে। তবে জেলার বামনা উপজেলায় টিআরের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংবাদে আরও বলা হয়, বরগুনা-২ আসনের (পাথরঘাটা-বেতাগী-বামনা) সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের অনুকূলে ২০২০-২১ অর্থবছরে পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলায় চার ধাপে টিআর প্রকল্পে দুই কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার ৮০৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
তিন উপজেলায় প্রকল্পের সংখ্যা ৩২৩টি। এর মধ্যে পাথরঘাটা ও বেতাগীর বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ প্রকল্পে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে এর দায় নিতে নারাজ সাংসদ শওকত হাসানুর।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ হয়েছে কি না, তা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিষয়। এখানে তার কোনো বিষয় নেই।
এ খবরের সূত্র ধরে গত বছরের ২৭ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শওকত হাসানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনগণের প্রতিনিধি আমাদের উন্নয়নের টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন না করে নিজে ব্যক্তিগতভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেন।
কিন্তু অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ায় তিনি দুদককে ৭ নভেম্বর আইনি নোটিশ দেন। তাতেও সাড়া না পেয়ে সুলতান আহম্মেদ হাইকোর্টে রিট করেন।
হাইকোর্ট রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে দুদকে দেয়া অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবী মো.কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের