এমপি
কয়রায় সাবেক এমপি, ইউএনও ও পুলিশসহ ৮০ জনের নামে মামলা
বছর চারেক আগে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাদের ত্রাণ বিতরণে বাধা দিয়ে মারপিটের অভিযোগে খুলনার কয়রায় সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জি এম রাজিবুল আলম নামের লবণচরা এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
আসামিরা হলেন, খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউএনও মমিনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক নীশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার, তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সাচ্চু শেখ ও মিহির মজুমদার, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউপির চেয়ারম্যান আ. সামাদ গাজী, আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও আরাফাত হোসেন, আমিনুল হক বাদল, মনি শংকর রায়, সুমাইয়া নীলা ও কাজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রায় ১০ বছর পর যুবককে আটকাদেশ
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ জুন সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত ভেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসেন। কয়রায় ত্রাণ বিতরণ শেষে পাইকগাছাতে বিতরণের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চাঁদআলী সেতু এলাকায় তাদের বহনকারী গাড়ির পথরোধ করে আসামিরা। এরপর বন্দুক, দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঁটা দিয়ে মারপিট করে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করে।
ওই সময় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাইলে উল্টো তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঁচটি প্রাইভেটকার ও ১৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলার বাদী বাপ্পী বলেন, ‘তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রতিকূল না থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।’
বাদীর আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে। আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো।’
২৬ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ কারাগারে
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা আইনজীবী মো. আব্দুল মজিদ খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলীম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ মো. আব্দুল মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে বানিয়াচং থানার পুলিশ ঢাকায় গিয়ে মঙ্গলবার সকালে তাকে হবিগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিদ ঢাকায় গ্রেপ্তার
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি ২ নম্বর আসামি ছিলেন। এ ছাড়াও রিপন শীল হত্যা মামলায় তার নাম ৩ নম্বরে রয়েছে।
মজিদ খান ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে যান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
৩৩ দিন আগে
আওয়ামী লীগের সাবেক ৮ মন্ত্রী ও ৬ এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন- দীপু মনি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন, মামুনুর রশীদ কিরণ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, কাজিম উদ্দিন, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও জিয়াউর রহমান।আরও পড়ুন: সাংবাদিকসহ আরও ৯২ মার্কিন নাগরিকের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
দুদকের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর আবেদনে উল্লেখ করেন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা যারা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
দুদক আদালতকে জানায়, তারা সবাই অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জন করেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর তদন্ত চলছে।
বিচারক আদেশের একটি অনুলিপি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিমের বিদেশযাত্রায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা
১৯৯ দিন আগে
লালমনিরহাটে ২ এমপি ও শতাধিক আ. লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৬ জনের লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে দুই সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে এসব তাণ্ডব চালানো হয়।
লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন খানের বাসা থেকে ছয়টি দগ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ওই বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা শহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশগুলো উদ্ধারের পর লালমনিরহাট সদর থানায় নিয়ে যাওয়ার হয়েছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা ও দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় অস্থিরতা।
সোমবার বিকালে শেখ হাসিনার পদত্যাগ উপলক্ষে বিজয় মিছিল বের করা হয়। জেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও মোড় দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে জনতা।
তবে দ্রুতই উৎসব হিংসাত্মক রূপ নেয়। লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িঘর ও সম্পদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান এবং সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত ভাঙচুর চলে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক
বেশি পরিমাণে দগ্ধ হওয়ায় হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভে জড়িত নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে লাশাগুলো তাদের প্রিয়জনদের হতে পারে। নিখোঁজ এক শিক্ষার্থীর বাবা রাজিবুল করিম সরকার জানান, পোড়া দেহাবশেষের মধ্যে যে পোশাক ও জুতা পাওয়া গেছে তা তার ছেলের জিনিসপত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে।
তিনি ধারণা করছেন, হতাহতরা ভবনটিতে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে ডিএনএ পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: অতিরিক্ত ডিআইজি
২২২ দিন আগে
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার জাপার এমপি
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যারা কাস্টমসে চাকরি করেন তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকা শহরে দুই-তিনটি বাড়ি রয়েছে।’‘বন বিভাগে যারা চাকরি করেন তাদেরও দুই-তিনটি স্বর্ণের দোকান আছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিলে আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন,‘আর তা না হলে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে হারে দুর্নীতি করছে, আমরা কী করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা অসহায়। কারণ এখানে ৯০ ভাগ মানুষ ওই দিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ মানুষ ভালো থেকে কী করবে?’
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনের সময় একটি হলফনামা দিতে হবে উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, এই নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
তিনি বলেন,‘কিন্তু চাকরিতে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি প্রথমে হলফনামা দেন, তারপর পাঁচ-দশ বছর হলফনামা দেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হয়, তাহলে দুর্নীতির চাবিকাঠি বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যথায় এটা বন্ধ হবে না।’
তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম যেমন লেখা আছে তেমনি প্রধানমন্ত্রীর নামও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, 'ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতি বন্ধ হবে। সংসদ সদস্যদের রেকর্ড থাকায় সব সরকারি কর্মকর্তার রেকর্ড তৈরি করলে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে হয়।’
কুড়িগ্রাম-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সরকারের দ্বৈত নীতি।
তিনি বলেন, 'একদিকে আপনি বলবেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স, অন্যদিকে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন। এটা কি সম্ভব? যারা বৈধ আয় উপার্জন করেন তাদের ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে, আর যারা কালো টাকা হোয়াইটওয়াশ করবেন তাদের ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এতে স্বার্থ কার? এটা কোনো নৈতিকতার মধ্যে পড়ে বলে মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
২৬০ দিন আগে
এমপি আনোয়ারুল হত্যার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বিদেশে অবস্থান করায় হত্যার মূল উদ্দেশ্য এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এমপি আনার হত্যার পেছনে উদ্দেশ্য কী- এটি বাংলাদেশ পুলিশ বা ভারতীয় পুলিশ এখনো পর্যন্ত বের করতে করতে পারেনি।’
তবে পুলিশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে বলেও জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা গ্রেপ্তার হলেই উদ্দেশ্য জানা যাবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
হাবিবুর রহমান বলেন, এমপি আনোয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো বহিঃসমর্পণ চুক্তি নেই। তবে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গত ১১ মে কলকাতায় যান। ১৪ মে থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
গত ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কলকাতার অদূরে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২২ মে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও প্রভাবশালীদের চাপ আছে: ডিএমপি কমিশনার
২৯১ দিন আগে
এমপি আনার হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি, ২ দিনের রিমান্ডে পুলিশ সদস্য
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তী রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
এমপি আনার চিকিৎসার জন্য গত ১১ মে কলকাতা যান এবং ১৪ মে থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কলকাতার অদূরে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এমপি আনারের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার বিকেলে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশের খণ্ড খণ্ডগুলো খুঁজে বের করতে কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ।
এছাড়া ভারতীয় গোয়েন্দা দলের তিন সদস্যের একটি দল হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ডিবি প্রধানের কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: মানবপাচার মামলায় মিল্টন ৪ দিনের রিমান্ডে
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
২৯৬ দিন আগে
এমপির নামে নকল সিল, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সংসদ সদস্যের নামে নকল (অবৈধ) সিল তৈরির অভিযোগে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপির ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান বাদী হয়ে এক ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল পৌর শহরের ভাঙা মার্কেট এলাকায় তহুরা কম্পিউটারের দোকানে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে গবার নামে অনুমতি ছাড়া নকল সিল তৈরি করছিলেন। সংসদ সদস্যর ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান গোপনে খবর পেয়ে বিষয়টি এমপিকে জানালে তিনি তার নামে সিল তৈরির বিষয়ে জানেন না বলে জানান।
বিষয়টি মৌখিকভাবে থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নকল সিল তৈরির প্রস্তুতি শেষ করার সময় দোকানি আব্দুর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। ৩ এপ্রিল থানা পুলিশ আটক রশিদকে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করেন। পরদিন তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
এদিকে ঘটনার চারদিন পর শনিবার রাতে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এমপির নামে জাল সিল বানানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, থানায় অপহরণ মামলা
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ১২
৩৪২ দিন আগে
এমপিদের ব্লক বরাদ্দ: জনগণের অর্থের ‘অপব্যবহার’ ও 'অপচয়' নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পর, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও অপচয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টিআইবির এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের বিষয় প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলফনামায় প্রার্থীদের সম্পদের সত্যতা ও সম্পদের বৈধতা যাচাইয়ের আহ্বান টিআইবির
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা করে নিতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ: অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজশ এবং কমিশন বাণিজ্যের ফলে স্কিমের কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিল না এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সময়ের সঙ্গে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বাড়লেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। ফলে এইসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই প্রকল্প সংসদ সদস্যের একাংশের জন্য স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে আসছে। ফলে এ ধরনের প্রকল্প অনিয়ম-দুর্নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বাভাবিকতায় পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ২০২০ সালের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিল টিআইবি। কিন্তু এই সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ ব্যবহারে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, প্রকল্প ও স্কিমসমূহে কার্যকর তদারকি এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সততা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
নতুন করে থোক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুর আগের বরাদ্দগুলোর নিবিড় ও নিরপেক্ষ নিরীক্ষার দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।
একইসঙ্গে, প্রকল্পের স্কিমসমূহ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
৩৯০ দিন আগে
এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
সংসদ সদস্যদের সম্পদ কীভাবে বহুগুণ বেড়েছে তা সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাংলাদেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিপিডির এই ফেলো বলেন, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদ বৃদ্ধির হার দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। যেখানে একটি প্লটের দাম ১ কোটি টাকা; তা মাত্র এক লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।’
তারপরও সম্পদ শতগুণ বেড়ে যায়, তাহলে আসল চিত্রটা কী? অধ্যাপক মুস্তাফিজ প্রশ্ন তোলেন, 'এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে না আসলে সম্পদ কতটা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় অনেকের সম্পত্তি শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তা দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পে ন্যূনতম ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা মজুরির সুপারিশ সিপিডির
অধ্যাপক মোস্তাফিজ বলেন, ‘ওই সম্পত্তিগুলো এত বেড়েছে যে সরকার এবং তাদের দলের উচিত এই সম্পত্তিগুলোর উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তাদের সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, সবকিছুই একটি 'অসাধু চক্রের’ তৈরি।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়ছে এবং আগ্রাসী ঋণ প্রদানের কারণে কিছু ব্যাংকও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
এটি নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত, অন্যথায় কেউ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এটি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বলেও জোর দেন সিপিডির এই ফেলো।
তিনি বলেন, 'আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের বিষয়টি আগেও বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য আইনগত দুর্বলতা ও বিধি-বিধান ঠিক করতে হবে। কারণ ব্যাংকিং খাত অর্থনীতির রক্ত। এই খাতের সমস্যা পুরো অর্থনীতির উপর পড়ে,’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, খেলাপির বিপরীতে ব্যাংককে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রভিশন করতে হয়। এর মানে হলো, টাকা অর্থনীতিতে অংশ নিতে পারছে না, ব্যাংকে পড়ে আছে।
এতে করে ব্যাংকের ঋণ দেয়ার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং আয় কমে যাচ্ছে।
ড. মোস্তাফিজ বলেন, ধরুন ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে সুদ দিচ্ছে, কিন্তু ব্যাংক ১০০ টাকার মধ্যে ৮০ টাকা ঋণ দিতে পারছে। অর্থাৎ ঋণের সুদের হার বাড়াতে হবে, এটি আবার বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকা নিজেদের সুবিধার জন্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা (নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করে।
প্রয়োজনে ভেনেজুয়েলার মতো দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। অতএব, এটি জোর দেওয়া উচিত যে তারা অনুমোদন করবে কিনা সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে তারা অনুমোদনের সুযোগ পাবে না। আমাদের শ্রমিকদের মজুরি ও অধিকার নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গার্মেন্টস শিল্পকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। বিশ্বের পোশাকের বাজার ৭০০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মতো বড় খাত আর নেই। রপ্তানি বৈচিত্র্যময় করতে হবে, নতুন বাজারে যেতে হবে।
এখনও এই বাজারের একটি বড় অংশ দখল করার সুযোগ রয়েছে, এর জন্য বাংলাদেশকে আরও আধুনিকীকরণ করতে হবে।
তিনি চামড়া খাত ও ওষুধ রপ্তানির ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। বৈশ্বিক বাজারে এই পণ্যগুলোর জন্য একটি সম্ভাব্য ভবিষ্যত রয়েছে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
৪৪৬ দিন আগে