প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ১১টার দিকে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে তাবিথ আউয়াল ও তার সমর্থকরা গাবতলীর বাজরাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একদল লোক তাদের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। এতে তাবিথসহ কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
বিএনপি কর্মীদের দাবি, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিশনার পদপ্রার্থী মুজিব সারওয়ার মাসুমের নেতৃত্বে তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালানো হয়।
এদিকে, হামলার পরেও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাবিথ আউয়াল।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুজিব সারওয়ারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নগরীর কল্যাণপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তাবিথ বলেন, ‘সারওয়ারের সমর্থকরা অস্ত্র, রড এবং লাঠি দিয়ে সজ্জিত হয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা তাদের ওপর ইট ও ডিম নিক্ষেপ করে।
‘তারা কাপুরুষের মতো পেছন থেকে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা আমাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। এটি খুব ভয়াবহ যে এই হামলাটি কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সামনে করা হয়েছে,’ বলেন বিএনপি প্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষের’ পক্ষে গণজোয়ার দেখে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। ‘আমরা শান্তি বজায় রাখতে চাই বলে পাল্টা কোনো আক্রমণ করিনি।’
বিএনপির প্রার্থী জানান, হামলাকারীরা তার মাথায় আঘাত করেছে এবং তার সমর্থকদের অনেককে মারধর করেছে। ‘এমনকি এর পরেও জনগণ আমাদের সাথে থাকায় আমরা ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে চলছি। আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি এবং তারা ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিয়ে এই ঘটনার জবাব দেবে।’
তাবিথ বলেন, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও তিনি নৈতিকভাবে এখনও বেশ শক্তিশালী। ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালিয়ে যাওয়ায় তারা আক্রমণ চালিয়ে আমাদের দমন করতে পারবে না।’
এ সময় বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, ‘গাবতলীতে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা আমাদের ওপর দুই দফা হামলা চালিয়েছে, এতে তাবিথসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।’
আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।