বুধবার রাজধানীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদল ও সিইসি কেএম নুরুল হুদার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন ভবনে বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া বৈঠকে আওয়ামী লীগের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। কখন ও কীভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে তা নির্ধারণ করবে ইসি। পূর্বঘোষিত সময়ে তফসিল ঘোষণায় ইসির প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থন আছে।’
এইচটি ইমাম বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া সব রাজনৈতিক দলই বৃহস্পতিবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ইসিকে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের পক্ষ থেকে ইসিকে বলা হয়েছে কোনো বেসরকারি ব্যাংক বা এনজিও থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়া হয়। এ বিষয়ে ইসি একমত পোষণ করেছে বলে জানান তিনি।
এইচটি ইমাম বলেন, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন আছে কি না, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে কমিশনকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পর্যটক ভিসা নিয়ে এসে কেউ পর্যবেক্ষকের দাবি যেন না জানাতে পারে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে বিশেষ পদ্ধতি রাখতে ক্ষমতাসীন দল পরামর্শ দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এইটি ইমাম বলেন, তারা সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা করেননি। তবে অতীতের মতো স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েনে আওয়ামী লীগের সমর্থন রয়েছে।
এইচটি ইমাম বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা ইসির সঙ্গে বৈঠকে অমার্জিত ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। ‘জাতি ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকার এটাকে সহযোগিত করছে।