মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। সেই সাথে জানান যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।
এর আগে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন দেয়া না হলেও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
সেলিম ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন।
এবার পৌর নির্বাচনে সেলিম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলসহ ছয়জনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়। পরে রমজান আলীকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার অনুমতি দেয়া হয়।
দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিলেও মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশপ্রেম এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য, বিশ্বাস ও আস্থা রেখে আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী রমজান আলীকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তিনি কর্মী ও সমর্থকদের তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।