বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৮ বছর বয়সী মোজাফফরকে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রধান মোজাফফর আহমদের আত্মীয় আনোয়ারা বেগম জানান, রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।
মোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।
তিনি ন্যাপ, সিপিবি এবং ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পরে, তিনি ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
তিন বছর আগে সরকার তাকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করলেও তিনি সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বর্ষীয়াণ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোকবার্তায় অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার (মোজাফফর) দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভূমিকার কথা স্বরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।