সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতা সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন এবং মাঝারদিয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থক বলে জানা যায়।
এ সংঘর্ষে কাগদি বাজারের ১৫-২০টি দোকান ও কাগদি-বাতাগ্রামের ৮-১০টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মাসুদ মিয়া, সৈয়াদ মিয়া, সাকিব শেখ, পিকুল মাতুব্বার, বতু শেখের নাম জানা গেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সালথায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, রবিবার রাতে কাগদি বাজারে মুরগি কেনা-বেচা নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক খায়ের মোল্লার সঙ্গে আফছার উদ্দিন মাতুব্বারের সমর্থক রকি মাতুব্বরের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরই সূত্র ধরে, সোমবার সকালে আফছার উদ্দিন মাতুব্বরের সমর্থকদের সাথে গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে, জানান তিনি।
সংঘর্ষের বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দিন মাতুব্বারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমূল হোসেন বলেন, গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক খায়ের মোল্লার সাথে আমাদের সমর্থক রকি মাতুব্বরের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো গিয়াস উদ্দিন বলেন, মুরগী কেনা-বেচা নিয়ে রকি ও খায়েরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার সমর্থকের ওপর হামলা হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওসি।