জনগণের অধিকার আদায় ও ব্যাপক দুর্নীতি নির্মূলের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার নয়াপল্টনে এক সমাবেশে এ আহ্বান জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘সরকার ব্যাংক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা গ্রামাঞ্চলে এমনকি বিরোধী দলের লোকদের সমস্ত ব্যবসা দখল করেছে।’
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন খাতের মানুষের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই মে দিবসে আমি সকল রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শিক সংগঠন বিশেষ করে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন আমাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে আন্দোলন করি। এই মে দিবসে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
মে দিবস উপলক্ষে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দেশে একতরফা শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হচ্ছে। এবার তাদের কৌশল ভিন্ন। আগের মতো সংসদে বিল পাস করে তারা এখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে তারা এটা করতে চায়।’
গণতন্ত্রের প্রতি বিরোধীদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা অতীতে কখনো পরাজিত হইনি, ভবিষ্যতেও পরাজিত হব না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা আরও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, মে দিবস এমন এক সময়ে পালিত হচ্ছে যখন বাংলাদেশের মেহনতি মানুষ 'পৈশাচিক শাসনব্যবস্থায়' তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
বুধবার বিকালে প্রচণ্ড তাপমাত্রার মধ্যেও নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হলে নয়াপল্টন এলাকায় সড়কের একপাশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ কারণে যানচলাচল ধীরগতির হয়ে যায়।
প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করাই আ. লীগের লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল