তিনি বলেন, ‘১৭ মার্চ দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হাতে সেই সব দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
রবিবার নওগাঁর ধামইরহাটে মাদক কারবারীদের আত্মসমর্পণ ও নতুন থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু দেশ। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তিনি ছাড়াও আমাদের অন্যান্য বন্ধু দেশের সরকার প্রধানরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে দেশের কোনো গোষ্ঠী যদি দেশে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’
এছাড়া নওগাঁর ৫৬ চিহ্নিত মাদক কারবারীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদককে রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সচেতনতা কর্মসূচির ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা, চোরাকারবারিরা আজ অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৮৮ হাজারের ওপর কারাবন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদকসেবী। এতেই বোঝা যায় বর্তমানে দেশে মাদকের ছোবল কতটা ভয়াবহ। মাদকের এই ভয়াবহতা রুখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে দেশের সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলম, নওগাঁ-৩ আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন জলিলসহ অন্যান্যরা।