রবিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মুক্তিযোদ্ধা ডা. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক আবদুল বাতেন আর নেই
টিটোর মেঝ ছেলে অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান জিউস জানান, ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে তিনদিন আগে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকাল ১০টার দিকে অবস্থার অবনতিতে তাকে লাইফ সাপোর্টে দেয়া হয়।
খালেদুর রহমান টিটো ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম অ্যাডভোকেট হবিবুর রহমান এবং মা মরহুম করিমা খাতুন। সাত ভাইবোনের মধ্যে টিটো দ্বিতীয়। বড়ভাই মাসুকুর রহমান তোজো ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক নিয়ে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হকের প্রয়াণ
টিটোর শিক্ষাজীবন শুরু হয় যশোর জিলা স্কুল থেকে। ১৯৬৭ সালে কারাগারে অবস্থানকালে যশোর এমএম কলেজ থেকে স্নাতক এবং পরবর্তীতে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হয়েও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আর শেষ করতে পারেননি।
১৯৭২ সালের ১৮ মে যশোর শহরের চুটিপট্টির মেয়ে রওশন আরা বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন টিটো। তাদের তিন ছেলে। ২০০৭ সালে তার স্ত্রী মারা যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বর্ষীয়ান নেতা সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করলে যশোর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নমিনেশন পান আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আলী রেজা রাজু। পরবর্তীতে রাজুর নমিনেশন প্রত্যাহার করে খালেদুর রহমান টিটোকে যশোর সদর আসনে নমিনেশন দেয়া হয় এবং নির্বাচনে জয় লাভ করেন।