তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সব প্রক্রিয়াতেই চেষ্টা চলছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রশাসন চাইলেই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে, কিন্তু করছে না। সে ব্যাপারে আমরা সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং আমরা তাকে মুক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি রাখছি।’
এক প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতাকালে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে শিগগিরই মুক্ত করতে আমরা সকল প্রক্রিয়া ও পথ অনুসরন এবং এসব প্রক্রিয়ায় ২০ দল সম্পৃক্ত থাকবে।’
খালেদা জিয়ার কারাবন্দির দুই বছরপূর্তিতে ও তার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ২০ দল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির প্রধানকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কর্মসূচি নেবে ২০ দলীয় জোট।
তিনি বলেন, সরকার অসুস্থ খালেদা জিয়াকে তার প্রাপ্য অধিকার এবং প্রয়োজনীয় চিৎসাসেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা জানি তিনি কোনো অপরাধ করেননি। কাজেই অপরাধ থেকে কোনো মুক্তি চাই না আমরা। সরকারের কাছ থেকে মানবিক ও গণতান্ত্রিক আচরণ আমরা নিশ্চয়ই চাই। আর সেই আচরণ না হলে জনগণ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এ দৃষ্টান্ত তো সারা দুনিয়ায় আছে।’
তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে চাই।
দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘যে ধরনের আন্দেলনে দলীয় প্রধানকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে সরকার বাধ্য হবে এমন আন্দোলন আমরা করতে পারেনি।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে এবং জনগণ কীভাবে ভোটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে তা এ নির্বাচনে দেখা গেছে। ‘নির্বাচন এখন উৎসবের বদলে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’