দলের পক্ষে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নগরীর আদ-দ্বীন মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রফিক-উল হকের মৃতদেহের সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল বলেন, রফিক-উল হকের মৃত্যু দেশের বিচার বিভাগের জন্য বড় ধাক্কা। ‘তার মৃত্যুতে সৃষ্টি হওয়া বড় শূন্যতা সহজেই পূরণ হবার নয়।’
তিনি বলেন, দেশে রফিক-উল হকের মতো আইনজীবীর অভাব রয়েছে। ‘তিনি সর্বদা নিপীড়িতদের পাশে ছিলেন এবং তাদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, এই আইনজীবী তার আয়ের এক বিরাট অংশ জনগণের সেবায় ব্যয় করেছেন। ‘তিনি এই হাসপাতালের (আদ-দ্বীন) চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ক্যান্সার হাসপাতালে তিনি প্রচুর অবদান রেখেছেন। ডায়াবেটিক হাসপাতালের পুরো আইসিইউ স্থাপনের জন্য তিনি অর্থও দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, খ্যাতিমান আইনজীবী বিভিন্ন হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং তাদের পরিষেবা ও মান উন্নয়নের জন্যও ভূমিকা রেখেছেন।
‘বিএনপি ও এর চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করছি। তাকে জান্নাতবাসী করতে আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করছি।’
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তার প্রথম নামাজে জানাজা সকাল সাড়ে ১০টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালের মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফখরুল, চিকিৎসক, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী এবং সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন। তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।