একই সাথে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এই রায় প্রদান করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কফিল উদ্দিন, আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো. শাহজালাল।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা একটি নৃশংস ঘটনা। রায়ের সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হত্যার সাথে আসামিরা জড়িত আছে বলে আদালতে প্রমাণ হয়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
আদালত সূত্র জানায়, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। চার দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।