তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, তাদের বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে এবং প্রচারণার সময় তাদের লাউড স্পিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এগুলো অত্যন্ত আফসোসের বিষয়।’
নির্বাচনের আচরণবিধি অনুসারে বিএনপির এই নেতা বলেন, রঙিন পোস্টার ব্যবহার ও দেয়ালে লাগানো পুরোপুরি নিষেধ। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা তা মানছেন না। নির্বাচন কমিশনও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে একটি লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) এখনও তৈরি হয়নি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী তাবিথ আওয়াল ও ইশরাক হোসেনের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব অভিযোগের কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, বর্তমান ‘আজ্ঞাবহ’ নির্বাচন কমিশন ‘ভোট ডাকাত’ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারবে না। কিন্তু আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
৩০ জানুয়ারির সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হলে এবং ভোটাররা কোনো ভয় ও বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারলে তাদের দলের মেয়র এবং বেশিরভাগ কাউন্সিলর প্রার্থী জয়ী হবেন।
এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে তাবিথ ও ইশরাক জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তারা জিয়ার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
পরে তাবিথ ফার্মগেট এলাকা এবং ইশরাক টিকাটুলির অভয় দাশ লেন থেকে টানা চতুর্থ দিনের মতো তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।